রাজশাহী নগরীতে হজ্ব বিষয়ে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মানববন্ধন ।
নিজস্ব প্রতিনিধি:
রাজশাহী নগরীতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের নিকট থেকে প্রায় এক কোটি টাকা প্রতারণা মূলক আত্মসাতের অভিযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
শনিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার কয়লাবাড়ি ট্রাক স্ট্যান্ড মোড়ে দুপুর ১.৪০ ঘটিকায় প্রতারণার স্বীকার হজ্ব যাত্রীসহ প্রায় শতাধিক মানুষ উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।
প্রতারণার স্বীকার ছয়জন জানান যে, তারা প্রত্যেকে ৫,০০,০০০/-(পাঁচ লক্ষ) টাকা দেন তাদের এলাকায় বসবাসকারী
মোঃ আব্দুর রহিম, পিতা - মোঃ মনিরুল ইসলাম,মাতা - মোসা: ইসমোতারা বেগম
সাং - কয়লাবাড়ি,পো: সোনা মসজিদ,
থানা - শিবগঞ্জ,জেলা - চাঁপাইনবাবগঞ্জকে ২০২৪ মৌসুমে হজে যাওয়ার জন্য। প্রতারিত ব্যক্তিগণ হচ্ছে যথাক্রমে : মনিরুল ইসলাম, আ: রশীদ, মোকিম,নাসির উদ্দিনসহ প্রতারিত হওয়ার পরও উচ্চ বিত্তের কিছু মানুষ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই মানব বন্ধনে বক্তব্য রাখেন।
তারা একবাক্যে সবাই একটি কথা জোর দিয়ে বলেছে প্রতারক উক্ত শেখ সাদীকে যদি আইনের আওতায় আনা না যায় তবে ভবিষ্যতে আরও লোকজনের এইরূপ আর্থিক, সামাজিক ক্ষতি সাধন করতে উৎসাহিত হবেন সন্দেহ নেই !
প্রতারিত প্রতিটি মানুষের জিম্মা নিয়ে টাকা প্রদানকারী পরিস্থিতির স্বীকার মোঃ আব্দুর রহিম বলেন যে, রাজশাহী নগরীতে জিন্নাহনগর,বোয়ালিয়া মডেল থানা এলাকায় ভাড়া বাড়ীতে বসবাস করতেন জনৈক শেখ সাদী (২৪) নামক এক ব্যক্তি।তার স্থায়ী ঠিকানা যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানার উত্তর শ্রীরামপুর গ্রামে তার , পিতার মোঃ মনজুর আহমেদ,মাতা - মোসা: সালমা খাতুন।দুরুলের সাথে প্রতারক শেখ সাদীর পরিচয় ঘটে ২০২২ ইং সালে ।একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ঘনিষ্ট ও বিশ্বস্ততার সুসম্পর্ক গড়ে উঠে।তখন তারা পুরাতন গাড়ী ক্রয় বিক্রয়ের ব্যবসা শুরু করেন যৌথ ভাবে, সুসম্পর্ক আরও গভীরতর হয়। ২০২৩ সালের প্রথম দিকে প্রতারক শেখ সাদী আব্দুর রহিমকে বলেন যে, ধর্ম মন্ত্রণালয়ে তার নিকট আত্মীয় উচ্চ পদে চাকুরী করেন তাই সে প্রতি হজ্ব মৌসুমে ১৫/২০ জন হজ্ব যাত্রীকে সৌদি আরবে প্রেরণ করতে পারবেন। রহিমকে হাজী প্রতি একটি কমিশন দিবেন।এই বলে রহিমকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে সচিবালয়ে সুট টাই পরা একজন ভদ্রলোককে আপন দুলাভাই হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। উল্লেখিত বছরে আব্দুর রহিম কিছু হজ্ব গমনে ইচ্ছুক এইরূপ তিনজন হাজী ম্যানেজ করে দিলে কমিশন হিসেবে ১,০০,০০০/-(এক লক্ষ) টাকা পায়।এর ধারাবাহিকতায় ২০২৪ ইং হজ্ব মৌসুমে ছয়জন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের নিকট থেকে ৩০,০০,০০০/( ত্রিশ লক্ষ) টাকা প্রদান করেন কিন্ত একজনকেও হজে পাঠাতে পারেনি এবং প্রদেয় উক্ত টাকাও ফেরত না দিয়ে প্রতারক শেখ সাদী রাজশাহী হতে ঢাকায় পালিয়ে যায়।এদিকে ছয় জন হজ্ব যাত্রীর টাকা ফেরত দিতে না পারায় আব্দুর রহিম চাপ সহ্য করতে না পেরে কিছুদিন আত্মগোপন করে থাকার পর এলাকায় এসে প্রত্যেক হজ্ব যাত্রীকে বিষয়টি জানান। তাঁরা সকলে মিলে যশোর ও ঢাকাতে প্রতারক শেখ সাদী ও তার দুলাভাইকে খোঁজ করেও পাননি।উল্টো তারা জানতে পারেন আরও কিছু মানুষ হজে যাওয়ার জন্য টাকা দিয়েছিল।তাদেরকেও হজে পাঠাতে পারেনি।এইভাবে প্রায় এক কোটি নিয়ে আত্মগোপনে শেখ সাদী ও তার দুলাভাই। আব্দুর রহিম এই বিষয়ে আইনের আওতার পথকে সুগম করতে গণমাধ্যমের সাহায্য কামনা করেন।তিনি আরও বলেন আমি টাকা দিতে পারি নাই বলে অনেক সাংবাদিক আমার বক্তব্য প্রচার করছে না।
মানববন্ধনে উপস্থিত প্রতারণার স্বীকার ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে এর সত্যতা পাওয়া যায়।