মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন পুলিস কমিশনার
মহানগরের তালাইমারী এলাকায় মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা আকরাম হোসেনকে (৪৫) নির্মমভাবে হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান।
শনিবার নগরের তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন।
তালাইমারী এলাকার বাসিন্দা আকরাম হোসেনের কন্যাকে কয়েকজন যুবক দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে আকরাম প্রতিবাদ করলে অভিযুক্তরা তাকে ভয়ভীতি দেখায়। ঘটনার দিন রাতে তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকায় আকরাম হোসেন ও তার ছেলে ইমাম হাসান অনন্তর উপর হামলা করা হয়। এ সময় তারা আকরাম হোসেনের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় বোয়ালিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। মামলা দায়েরের পরপরই আরএমপি কমিশনার অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারে নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হত্যাকান্ডের মুলহোতা নান্টুসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা।
পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। এ ঘটনায় সন্দিগ্ধ আসামি রুমেলকে গ্রেপ্তার করে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ এবং র্যাবের সহায়তায় এজাহার নামীয় মূল আসামি নান্টু ও খোকনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অচিরেই অন্যান্যদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আরএমপি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।
পুলিশ কমিশনার বলেন, নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ সবসময় তৎপর রয়েছে। এ ধরনের জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং কোনো অপরাধীকেই ছাড় দেওয়া হবে না। পাশাপাশি মেট্রোপলিটন এলাকার সকল কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধেও নিয়মিতভাবে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) নাজমুল হাসান, উপ-পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) রিয়াজুল ইসলামসহ আরএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা