কুষ্টি পাথরের মূর্তি ও সীমানা পিলার বিক্রির নামে প্রতারক চক্রের নুরুর হাতিয়ে নিল ৩ কোটি টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
লালমনিরহাটের আদিত্যমারী উপজেলার, ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের, পশ্চিম ভেলাবাড়ি গ্রামের (কুমড়িরহাট বাজার সংলগ্ন) মৃত-মোকসেদুলের ছেলে নূর মোহাম্মদ নুরু (৭৫), ফ্যাসিস্ট হাসিনার একজন সহচর। আওয়ামী লীগের নেতা ও প্রতারক চক্রের লিডার দেওয়ানি বংশের সামসুল, আওয়ামী লীগ কর্মী ও প্রতারক চক্রের সদস্য সালাম ও গোপালগঞ্জের ফ্যাসিস্ট হাসিনার আত্মীয় ও আওয়ামী লীগের গুপ্তচর বাশার। আদিত্যমারী থানার ভেলাবাড়ী গ্রামের মফিজুল, মিলন সহ প্রতারক চক্রের গডফাদার নুরু ও তার দলের সদস্যরা প্রতারণা করে হাতিয়ে নিল ৩ কোটি টাকা।
লালমনিরহাটের পাংঙ্গা রাজার পুত্রবধূ দেবী রাণীর, নুরুকে দেওয়া কুষ্টি পাথরের মূর্তি ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোং ম্যাগনেট পাওয়ার সীমানা পিলারের ছবি এবং ভিডিও কলে কখনোবা সরাসরি দেখিয়ে নুরু ও তার সদস্যরা কয়েক বছর ধরে নিজ এলাকা ও বিভিন্ন জেলার মানুষের নিকট হতে নগদ টাকা ও মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ০৩ (তিন) কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।… তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রতারণার টাকা গডফাদার নুরু তার জম্মভূমি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বাড়িতে নামে-বেনামে তার অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে। এবং তার ছেলে রাশেল সেখানে সম্পদ গুলো সুখে শান্তিতে ভোগ দখল করছে।
ভুক্তভোগীর জানাই, এই মূর্তি ও পিলার আমার কাছে সংরক্ষিত আছে, এই মূর্তি ও পিলারের দাম হাজার হাজার কোটি ইউএস ডলার, যা বাংলাদেশী টাকায় কয়েক লক্ষ হাজার কোটি টাকা বলে মানুষের বিশ্বাস স্থাপন করে। তারপর প্রতারকরা জানাই প্রোডাক্ট দুইটি আমেরিকার সাথে বিক্রয় চুক্তি হয়েছে। এবং ৭ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের একাউন্টে আমেরিকা থেকে এসে আছে। এই টাকা গুলো আমেরিকায় এম্বাসি মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ছাড়াতে ৩ (তিন) কোটি টাকার প্রয়োজন। এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের এই টাকা ৫০ জনের নামে নামে ফাইল তৈরি করে দেওয়া হবে। প্রতিজনকে ১০/১৫/২০ হাজার কোটি টাকা করে দিতে চেয়ে ফাইল তৈরির খরচ লাগবে বলে প্রতারণা ফাঁদ তৈরি করে টাকা হাতিয়ে নেয়। বিদেশে গাড়ি, বাড়ি ও সিটিজেনশীপ দেওয়ারও প্রলবন দেখিয়ে কয়েক দফা টাকা নেয়।
ভুক্তভোগীরা জানাই, প্রতারকরা বলে যে, আমেরিকান এম্বাসি ও সেনাবাহিনীর ৫ জন জিওসি পদবির অফিসার এখানে যুক্ত এবং তারাই ফাইল গুলো নিয়ে কাজ করছে। এভাবে তারা মানুষের বিশ্বাস ও গ্রহণযোগ্য তৈরী করে প্রতারণা করে । টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ও নিচ্ছে। টাকা নেওয়া হয়ে গেলে লোকজনকে বছরের পর বছর ঘুরাতে থাকে। এক পর্যায়ের লোকজন ধৈর্য হারিয়ে টাকা ফেরত চাইলে তাদের অমানবিক আচরণ করে ও সকল কিছু অস্বীকার করে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রতারক চক্রের লিডার দেওয়ানি সামসুল, তার আত্মীয় মুক্তা খাতুনের নিকট থেকে ০৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া
আরো লোকজনের কাছে থেকে ১৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এবং মুক্তাকে ৫ বার এম্বাসির কাজের নামে মহাখালীর আবাসিক হোটেলে নিয়ে গিয়ে হয়রানি করেছে। নুরু গডফাদারের ডান হাত হিসেবে পরিচিত তার স্যালক সালাম, সেও প্রতারণা চক্রের সকল কাজে যুক্ত। লালমনিরহাটের মফিজুল, মিলন ও গোপালগঞ্জের বাশার, মহাখালীর একতা হোটেলে লোকজনকে ডেকে মূর্তি ও পিলার বিক্রির বাহানা দিয়ে ১ কোটি টাকা ন্যায় হাতিয়ে নিয়েছে। এভাবে বহু মানুষের জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে ও দিচ্ছে।
এই প্রতারক চক্রের সদস্যরা আওয়ামী লীগ দলের প্রভাবশালী ও শক্তিশালী হওয়ায়, দেশের বিভিন্ন জেলার লোকজন সহ মহাখালীর একতা হোটেলের আশেপাশের লোকজন চিনলেও তাদের এই সকল অপকর্ম বন্ধ করার দুঃসাহস দেখায় না কেউ। ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত চাইলে জীবন নাশের হুমকি দেয়। আরো জানা যায়, প্রতারক চক্রের সদস্যরা এখন বিদেশে পাড়ি দিয়ার চেষ্টা করছে।